,

বানিয়াচংয়ে এমপিওভুক্তি পাইয়ে দেয়ার নাম করে একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : বানিয়াচং একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদারের বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তি পাইয়ে দেয়া, আর্থিক অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ মার্চ ২০২৩খ্রি. জেলা প্রশাসক বরাবরে ৬১ জন এলাকাবাসীর স্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী (ইংরেজী) শিক্ষক মোঃ শামছুর রহমান।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক শামছুর রহমান ২০০২ সালে একই তারিখে নিয়োগ লাভ করেন। কিন্তু সহকারি শিক্ষককে এমপিওভুক্তি পাইয়ে দেয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা নেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদার। টাকা নেয়ার পরও নানা অজুহাতে টালবাহানা করতে থাকেন তিনি। ফলে অদ্যবধি পর্যন্ত এমপিওভুক্তি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। মোঃ শামছুর রহমান নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সহকারী (ইংরেজী) শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এমপিও ভূক্ত না হওয়া পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী মাসিক ১০ হাজার টাকা করে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে তিনি বেতন পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোন কারণ ছাড়া ০১-০১-২০২০ খ্রি. থেকে কোন প্রকার বেতন ভাতা না দেয়ায় পরিবার নিয়ে তিনি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক ধারবাবদ ৪৭ হাজার টাকা নেন যা এখন ও তিনি ফেরত দেননি। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নিকট এর অডিও রেকর্ড রয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমপিওভুক্তি না হওয়ায় ভুক্তভোগী শিক্ষক নিরুপায় হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং- ৮৪১৫/২০২১ দায়ের করেন। গত ০৩-০২-২০২২ খ্রি. এমপিও ভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক-২) মোঃ তরিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদারকে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজ পত্র অধিদপ্তরে প্রদর্শনের জন্য চিঠি ইস্যু করলে ও অদ্যবধি তিনি কোন কাগজ পত্র প্রদর্শন করেননি।
অন্যদিকে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ক্লোজ করা হিসাব কাট পেন্সিল ব্যবহার করে পুনরায় হিসাবে টাকার পরিমান বাড়ানো, একই খাতে আগে পরে টাকা কমবেশি দেখিয়ে বারবার ভাউচার করা, ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বাবদ অর্জিত আয়ের ৪৪ হাজার টাকার কোনো হিসাব দিতে না পারাসহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উছমান মিয়া জানান, সহকারি শিক্ষক শামছুর রহমানের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। হিসাব নিকাশ সব ঠিক আছে কোনো সমস্যা নাই।
একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদার জানান, ওই শিক্ষকের সকল একাডেমিক সনদ তৃতীয় বিভাগ থাকায় তার এমপিওভুক্ত হয়নি। আর তার কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টাও সম্পুর্ণ বানোয়াট। বিস্তারিত জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এই অফিসে নতুন যোগদান করেছি। আর অভিযোগের কপি আমার কাছে এখনো আসেনি।
অভিযোগের অনুলিপি হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ, দুর্নীতি দমন কমিশন হবিগঞ্জ, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বানিয়াচং ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর